বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জে সদরে নির্বাচনি পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধার ইউনিয়নের সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামের এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ নারীসহ ৩ জন। স্বর্ণালঙ্কার নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা সমর্থন করায় একই আসনের জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লব সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ তাদের।

আহতরা হলেন স্থানীয় রেনু বেগম, মাহফুজ ও শাহানাজ তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় দুটি গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোলারচর ও বকুলকলা এলাকার লোকজন পরাজিত নৌকা ও জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে বিরোধ চলছিলো। ভোর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্বাচনি বিরোধকে কেন্দ্রে বিজয়ী ফয়সাল বিপ্লবের সর্মথক উত্তর সোলারচর গ্রামের বোরহান মাস্টারের ছেলে আহাদুলের নেতৃত্বে হঠাৎ করে সোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশি অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীরা প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ১৫টি গরু ও ৮টি ছাগল নিয়ে যায়। লুট করা হয় স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মাহাবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেন। তাদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আমিন উদ্দিন সরকার মেয়ে পান্না বেগম বলেন, ভোরে কাঁচি সমর্থক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুটে নিয়েছে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

মোদি দোকানী ক্ষতিগ্রস্ত লাবলু মোল্লা জানান, তার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকাসহ দোকানের মালামাল লুটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এতে তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহাদুলের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়াযায়নি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে সাথে সাথে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমরা ৭টি ঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। ৪টি গরু ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায় পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com